ব্যান্ডউইডথ (Bandwidth)

ব্যান্ডউইডথ : প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা ট্রান্সফার হয় অর্থাৎ ডেটা ট্রান্সফারের হারকে ব্যান্ডউইডথ বলে। ব্যান্ডউইডথকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিডও বলে। প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা ট্রান্সফার হয় তাকে bps (bit per second) বলে। ডেটা ট্রান্সমিশন–এর একক bps (bit per second) এ হিসেব করা হয়। ডায়াল-আপ ইন্টারনেট সার্ভিস হলো কম-ব্যান্ডউইডথ (low Bandwidth) কানেকশন। ব্রডব্যান্ড যেমন: ডিএসএল (ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন), রেডিওলিঙ্ক, অপটিক্যাল ফাইবার, মাইক্রোওয়েভ, ক্যাবল এবং স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস হলো উচ্চ-ব্যান্ডউইডথ (High Bandwidth) কানেকশন। ক্যাবল ইন্টারনেট সার্ভিস শুরু হয় ১ Mbps দিয়ে এবং ৩০ Mbps পর্যন্ত স্পিড দিয়ে থাকে।

ব্যান্ড উইডথ একক হিসাব :
প্রতি সেকেন্ডে বিট ডেটা স্থানান্তরিত হওয়ার হারকে bpsবলে। তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক হলো বিট (Bit)। এর পুরোনাম Bynary Digit. এক বিট সমান বাইনারি তথ্য ০ বা ১। ৮ বিটে ১ বাইট সমান এক ক্যারেক্টার।

১ বাইট = ৮ বিট (Bit) অথবা ১ ক্যারেক্টার (Character)
১ কিলোবাইট (1KB) = ২১০ বা ১০২৪ বাইট (Byte)
১ মেগাবাইট (1MB) = ২১০ বা ১০২৪ কিলোবাইট (KB)
১ গেগাবাইট (1GB) = ২১০ বা ১০২৪ মেগাবাইট (MB)
১ টেরাবাইট (1TB) = ২১০ বা ১০২৪ গেগাবাইট (GB)

বিট : বাইনারি ডিজিট ০ এবং ১ কে বিট বলে। একে b দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

বাইট : ৮ বিটে এক বাইট বা ১ ক্যারেক্টার। একে B দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

কমিউনিকেশন গতির শ্রেণিবিভাগ :
কমিউনিকেশন গতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
১. ন্যারো ব্রান্ড (Sub-Voice Band): ৪৫ থেকে ৩০০ bps। টেলিগ্রাফিতে ব্যবহৃত হয়।
২. ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band): ৯৬০০ bps বা ৯.6 kbps। এটা সাধারণত ল্যান্ড টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে কিংবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরে ব্যবহৃত হয়।
৩. ব্রড ব্যান্ড: যার গতি কমপক্ষে ১Mbps (megabits per second) সাধারণত কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবারে ডেটা স্থানান্তরে ব্রড ব্যান্ড ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া WiMaX, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন এবং মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশনেও ব্যবহার করা হয়। সাইবার লাইন (ডিএসএল), রেডিও লিংক, মাইক্রোয়েভ, স্যাটেলাইট, স্যাটেলাইট, অপটিক্যাল ফাইবার ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।