Header Ads

Header ADS

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ( Artificial Intelligence)


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) জনক ব্রিটিশ গনিতবিদ অ্যালান টিউরিংও বুদ্ধিমত্তার সংজ্ঞা কি তা নিরুপণ করতে পারবেন বলে মনে করেননি, বা এ নিয়ে কারোর সাথে বিতর্কেও যেতে চাননি।বুদ্ধিমত্তা কাকে বলে, তা একটি বহুল বিতর্কিত বিষয়, সেটা টিউরিং সময়কালে তো বটেই, এমনকি বর্তমানেও বুদ্ধিমত্তাকে বৈজ্ঞানিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব হয়নি।কিন্তু টিউরিং এর ধারণা ছিল, মানুষের মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে ঠিক কি ঘটছে, তা মানুষ না জানলেও যন্ত্রের মাধ্যমে বুদ্ধিদীপ্ত কাজ করানো সম্ভব।তার এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই ১৯৫০ সালের দিকে গড়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।তিনি বুদ্ধিমত্তার সংজ্ঞা নিরূপনের ঝামেলায় না গিয়ে তিনি যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তার অস্তিত্ব প্রমাণে সচেষ্ট হয়েছিলেন বিখ্যাত টিউরিং টেস্টের মাধ্যমে।এটি এমন একটি পরীক্ষা যাতে যন্ত্রঘটিত কাজ মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়, কাজটি যন্ত্র করেছে নাকি মানুষ করেছে? এক্ষেত্রে একজন মানুষকে নিয়োজিত করা হয় কাজটির বিচারক হিসেবে, তাকে বলতে হবে, কাজটি কে করেছে।মানুষের বিবেচনায় যদি মনে হয় কাজটি যন্ত্র দ্বারা সম্পাদিত হয়েছে, তার অর্থ হল, যন্ত্রটির মানুষের অনুরূপ কাজ করার ক্ষমতা নেই, আর যন্ত্রের কাজ যদি মানুষকে এই অনুভূতি দেয়, যে কাজটি মানব দ্বারা সঙ্ঘটিত হলেও হতে পারে, সেক্ষেত্রে যন্ত্রটিকে মানুষের অনুরূপ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে।বর্তমানকালে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকে ELIZA প্রোগ্রামটির সাথে পরিচিত, যাতে কোন প্রশ্ন করলে, প্রোগ্রামটি আমাদের দৈনন্দিন কথোপকথনের মত পালটা প্রশ্ন করে বসে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স শব্দটির সম্ভাব্য বাঙ্গলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিন্তু তাতে নামকরণটি সার্থক হয় না।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শব্দটির মানে দাড়ায় “আসল নয় এমন বুদ্ধিমত্তা”।কিন্তু তার চেয়ে বানানো বুদ্ধিমত্তা শব্দটি অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য।কিন্তু শব্দটা যতটা মানানসই শুনতে ততটা শ্রুতি মধুর নয়।
ট্যুরিং ছিলেন একজন ইংরেজ গণিতবিদ, যুক্তিবিদ ও ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ। কম্পিউটার বিজ্ঞানের সবচেয়ে মৌলিক দুটি ধারণার সাথে তার নাম জড়িত: 
ট্যুরিং টেস্ট এবং ট্যুরিং মেশিন।কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের প্রধান সম্মাননা তার নামে, “ট্যুরিং পুরস্কার” প্রায়ই কম্পিউটার বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার নামে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ‘ট্যুরিং গভর্ণমেণ্ট কোড এণ্ড সাইফার স্কুল‌ে’ খণ্ডকালীন চাকরি করতেন, যা ছিল ব্রিটিশ সংকেত উন্মোচনকারী প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে সে ‘হাট-৮’ এর নেতৃত্ব দেন, যেটা জার্মান নৌ-বাহিনীর ধ্বংসের কারণ হয়। উইনস্টোন চার্চিল এর মতে ট্যুরিং একাই জার্মান নাৎসি বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। ট্যুরিং এর ভূমিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করে দেয়। অসাধারণ বুদ্ধির অধিকারী ট্যুরিং মাত্র ১৬ বছর বয়সে আলবার্ট আইস্টাইনের কাজের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৫২ সালে ট্যুরিং জেলে যান সমকামীতার অভিযোগে। ১৯৫৪ সালে ৪২তম জন্মদিনের ১৬ দিন আগে তিনি সায়ানাইড গ্রহণ করে আত্মহত্যা করেন। ব্রিটিশ রানী ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 
 মো: ফজলে রাব্বী
খানসামা, দিনাজপুুর।

 

No comments

অ্যাপল জিনিয়াস স্টিভ ওজনিয়াকের মজার সব গল্প

স্টিভ ওজনিয়াক, অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি ও স্টিভ জবস মিলে শূন্য থেকে গড়ে তুলেছিলেন আজকের টেক-জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটিকে। সম্প্রতি স...

Powered by Blogger.